যশোরের মনিরামপুরে গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা হলেও চলতি সপ্তাহে ডাবল সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে আড়াইশ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। কয়েকটি বাজারে মরিচ ২৪০-২৫০ টাকা বিক্রি হলেও বড় বাজারগুলোতে মরিচের দাম ২৬০ টাকা পর্যন্ত ওঠেছে।

গত ১৩ আগস্ট (শনিবার) মনিরামপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় কাঁচা মরিচের দাম আকাশচুম্বী মূল বাজার সংলগ্ন দোকানগুলোতে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে ছোট বাজার গুলোতে মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৪০ টাকা।

মরিচের দাম নিয়ে ক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, কদিন আগেও ২৫০ গ্রাম মরিচ কিনেছি ২৫ টাকায় এক সপ্তাহের মধ্যে দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। এর আগেও এভাবে মরিচের দাম বেড়ে গিয়েছিল নিত্যপণ্যের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। কাঁচা মরিচের দাম ২৬০ টাকা কেজি প্রতি কিনতে হচ্ছে অনেকেই আবার ২৫০ গ্রাম মরিচ না কিনে খরচ বাঁচাতে ১৫০ গ্রাম করে মরিচ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

মরিচের দাম এত কেন জানতে চাইলে ব্যবসায়ী মুনসুর আলী বলেন, আমাদের করার কী আছে? পাইকারি বাজারে মরিচের দাম বেশি এদিকে বাজারে পর্যাপ্ত মরিচও আসছে না। ক্রেতাদের চাহিদা থাকলেও সে অনুসারে মরিচের জোগান না থাকায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের এখানে বেশিরভাগ মরিচ আসে বাইরে থেকে টানা খরার পরে সেসব এলাকায় বৃষ্টি হলে মরিচের ফলনের ভাটা পড়ে ফলন কম হওয়ায় বাজারে চাহিদা মাফিক মরিচ আসছে না। যা আসছে তার দামও আকাশছোঁয়া।

আরেক ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি গত হাটেও মরিচ বিক্রি করেছি কেজি প্রতি ২০০ টাকা। আজকে সেটি বিক্রি করতে হচ্ছে কেজি প্রতি ২৪০-২৫০ টাকা। যেসব জায়গা থেকে মরিচ আসে সেখানেও কেজিপ্রতি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়। এখানে ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই।

মরিচের দাম কবে কমবে জানতে চাইলে পাইকারি কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতারা বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় মরিচ কম থাকায় দাম অনেকটা বৃদ্ধি তারপরও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে বৃষ্টির কারণে মরিচ নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টি কম হলে নতুন মরিচ বাজারে আসলে দাম কম হবে বলে মনে করছি ক্ষেতে নতুন মরিচ উঠার পর দাম কমে আসবে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ ২৪০-২৫০ টাকা, ভালো মানের বেগুন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, আলু ৩০-৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৪৫ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, পটল ৪০-৪৫ টাকা, কচুর লতি ৪৫-৫০ টাকা, কাঁচা কলা ৩০-৪০ টাকা, কচুর মুখি ৪০-৪৫ টাকা, কাকরোল ৩৫-৪০ টাকা, লাউ ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কলমকথা/ডি.জে হাসান